আশাশুনির কালকীর স্লুইস গেটে পলি মাটি জমে থাকায় প্রায় তিন বছর ধরে ১০ হাজার বিঘা জমির ফসল মাইর। তিন বছরে একাধিকবার মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার পরেও দেখার কেউ হইনি এমনটাই অভিযোগ দুই ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের।
জরুরী ভাবে স্লুইস গেটের সামনে ও ভিতর থেকে পলি মাটি অপসারন না করা হলে বড়দল ইউনিয়নের উত্তর বড়দলের আংশিক, মধ্যম বড়দলের সম্পুর্ন, পাঁচপোতা, দক্ষিণ বাইনতলা, মধ্যম বাইনতালা, মাদিয়া, হিতালবুনিয়া, লক্ষীখোলা ও মুরারিকাটির আংশিক এবং খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালী, খালিয়া, রাউতাড়া, পিরোজপুর, দূর্গাপুর, গজুয়াকাটি, চেউটিয়া গ্রাম ও বিলে হাজার হাজার বিঘা ধানের জমি ও মৎস্য ঘের পানির নিচে তলিয়ে জলাবদ্ধতা হয়ে আবদ্ধ থাকে। বড়দল ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আব্দুল ওহাব মোল্যা ও খাজরা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু সহ এলাকাবাসী জানান, আমাদের এক ফসলি জমি, একমাত্রই পানি নিঃষ্কাশনের রাস্তা এই কালকীর স্লুইস গেটটি। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তার কোন ভালো ফলাফল আমরা পাইনি।
আরো যানান অনেকেই ফসল উৎপাদন না করতে পেরে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আবার কেউ কেউ বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকা সহ বিভিন্ন ইট ভাটায় চলে গেছে।
কালকীর স্লুইস গেটের বাইরে ও ভিতরে ২কিঃ মিঃ খাল খনন না করলে সামনে বর্ষা মৌসুমে আবার জলাবদ্ধতায় ভুগতে হবে আমাদের। বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের দশ গ্রামের দশ হাজার বিঘা জমির ফসল উৎপাদন করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী ভাবে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দশ গ্রামবাসী।
""বি:দ্র: এই সাইটের কোন লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডণীয়""
Copyright © 2025 www.digantapratidin.com. All rights reserved.