দীর্ঘ ১৫ বছর পর জামাত ইসলামের রাজধানী নামে খ্যাত সাতক্ষীরার কর্মী সমাবেশ লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে গণমুখী মাঠ দুপুরের আগেই কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে যায়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত ১৭ বছরে সাতক্ষীরার মানুষ সব চেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। দেশের মধ্যে সাতক্ষীরার একজন সংসদ সদস্যের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি এই জনপদের সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল। সাতক্ষীরার মানুষের উপর তারা জুলুম করেছে, খুন করেছে,পঙ্গু বানিয়েছেন, ইজ্জতের উপর হাত দিয়েছে, সম্পদ লুটপাট করেছে। মানুষকে তারা তাদের দাশে পরিণত করেছে। সারাদেশে একই অবস্থা ছিলো। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিলো সাতক্ষীরায়। শনিবার দুপুর ২টায় সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা জামায়াতের কর্মী সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এখানে শত শত মানুষ ফ্যাস্টিটের অত্যাচারে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে। আমাদের সন্তানদের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু বাংলার আকাশে কিছু শকুন ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। শকুনের দিকে তীর্যক দৃষ্টি রাখতে হবে। কোন শকুনকে মাটিতে নামতে দেওয়া যাবে না। আগামীতে আমরা একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। সেই বাংলাদেশে মানুষে মানুষে থাকবে না কোন ভেদাভেদ। সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে । সমাজের প্রতিটি মানুষের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চায় যেখানে কেউ চাইলেও তার অধিকার পাবে। না চাইলে পাবে। এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চায়, যেখানে আমার মা বোনেরা ঘরে, বাইরে এবং রাস্তাঘাটেও সুরক্ষিত থাকবে। তারা থাকবে মর্যাদার সাথে। আমরা বাংলাদেশের দায়িত্ব যুব সমাজের হাতে তুলে দিতে চায়।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দেশ আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা আমির মহাদ্দিস রবিউল বাসার প্রমূখ।
""বি:দ্র: এই সাইটের কোন লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডণীয়""
Copyright © 2025 www.digantapratidin.com. All rights reserved.