কপিলমুনি (খুলনা) অফিস: কপিলমুনির লোহা পট্টির লোহা ব্যবসায়ী পঙ্কজ কর্মকার ও তার ছেলে রামপ্রসাদ
কর্মকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে লোহা ব্যাবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গতকাল বিকাল ৫ টায় কপিলমুনি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লোহা
ব্যবসায়ী ষষ্ঠী কর্মকার,গৌর কর্মকার,প্রকাশ কর্মকার,গণেশ কর্মকার,শৈলেন
কর্মকার,ভোলা কর্মকার সহ অনেকে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন। লিখিত
সংবাদ সম্মেলনে ওই লোহা ব্যবসায়ীরা বলেন, পঙ্কজ কর্মকার ও তার ছেলে রামপ্রসাদ
কর্মকার সপ্তাহের সব দিন দোকান খুলে তারা ব্যবসা পরিচালনা করলেও আমাদের মাত্র
সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার দোকান খুলতে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিন দোকান খুলে
ব্যবসা পরিচালনা করলে পিতা পুত্রের অশ্রাব্য গালিগলাজ সহ নানা নির্যাতন, ষড়যন্ত্র ও
মিথ্যা মামলার শিকার হতে হচ্ছে ।অধিক লাভের আশায় সম্পূর্ণ গায়ের জোরে এই লোহা
পট্টিতে এমনটি করছেন পঙ্কজ কর্মকার ও তার ছেলে।সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো
জানান,পঙ্কজ কর্মকারের এমন আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় পঙ্কজ কর্মকার ও তার
ছেলে রামপ্রসাদ ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোহা
ব্যবসায়ী গৌর কর্মকারের গলায় ধারালো দা ঠেকায়। এ সময় গৌরকর্মকারের
আত্মচিৎকারে আশেপাশের ব্যবসায়ীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গৌর কর্মকার
গত ১১/৮/২৩ ইং তারিখে পঙ্কজ ও তার ছেলে রামপ্রসাদ সহ ৩ তিনজনের বিরুদ্ধে
পাইকগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। ডায়েরি নং ৫৬৪ । ব্যবসায়ীরা
বলেন, এ ঘটনার তদন্তে সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন
ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বরং পঙ্কজ কর্মকারের ছেলে রামপ্রসাদ কর্তৃক ৪ ব্যবসায়ীর
বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা জিডি নিয়মিত মামলায় দেয়া হয়েছে। জিডি
নং ৮১৭ ,তারিখ ১৬/৮/২৩ইং। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা জানান,পঙ্কজ কর্মকার
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজিত ঘোষকে প্রভাবিত করে তদন্ত তাদের
অনুকূলে নেয়। তারা আরও জানান,মিথ্যা জিডির ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত
আমাদের জামিন দেয়ার পর পঙ্কজ ও তার ছেলে আমাদেরকে ভয় ভীতি ও হুমকি
ধামকি দেয়া সহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।পিতা-পুত্রের নির্যাতন, মিথ্যা
মামলা ও অব্যাহত ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেয়ে লোহা পট্টিতে সুষ্ঠুভাবে
ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারি তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
""বি:দ্র: এই সাইটের কোন লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডণীয়""
Copyright © 2025 www.digantapratidin.com. All rights reserved.