গত ৪ সেপ্টেম্বর সংসদ ভবনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত সচিব জেবুন্নেসা করিমের (অতিরিক্ত সচিব, কমিটি সাপোর্ট উইং) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় তুলে ধরা হয়।
লোকসানের পরিপ্রেক্ষিতে চুরি যাওয়া নগদ অর্থ উদ্ধারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সংসদ ভবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অফিস, উপধারা ও বিভাগ থেকে হারিয়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত মালামালের বিস্তারিত তালিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই তালিকা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রতিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রধানদের কাছে জমা দিতে হবে।
জাতীয় সংসদ ভবনের বিভাগীয় প্রধানরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে মেরামতের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সভায় সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য ভবন (মানিক মিয়া ও নাখাল পাড়া), পুরাতন এমপি হোস্টেল, মন্ত্রী হোস্টেল, সচিব হোস্টেল ও সংসদ ভবন আবাসিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণ এবং ওই এলাকার ভাঙা, হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত ৩টি কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটিকে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্তূপীকরা মালামাল সরেজমিন পরিদর্শন করে শপথকক্ষে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনে ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, লাইন ও সেটসমূহ জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বিভিন্ন অনুবিভাগ প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
""বি:দ্র: এই সাইটের কোন লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডণীয়""
Copyright © 2025 www.digantapratidin.com. All rights reserved.