৮মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধিকার সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন এই শ্লোগান কে সামনে রেখে, শনিবার সকাল ১০টায় ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে দ্বিতীয় তলায় উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাঁসি রাণী, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সেক্টার মোঃ মনির হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা বিশিষ্ট সমাজ সেবক হষরত মাওলানা মুফতি আব্দুল কাইয়ুম জমাদার।
বক্তব্য দেন ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, সাংবাদিক শেখ জাহিদুর রহমান, আরিফুজ্জামান নয়ন, বিপ্লব, এ্যাডভোকেট আলমগীর কবির, রুপা দাস, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাদ্দাম হোসেন, নিজেরা করি কর্মি মালতী রানী, ডুমুরিয়া উপজেলা ব্র্যাক ম্যানেজার ইউসুফ আলী, প্রমুখ।
উল্লেখ্য এই দিনটির শুরু ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে সেসময় গ্রেফতার হন বহু নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই। তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারীশ্রমিক ইউনিয়ন’। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার।
১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
নারী দিবস হচ্ছে সেই দিন, যেই দিন জাতিগত, গোষ্ঠীগত, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে নারীর অর্জনকে মর্যাদা দেবার দিন। এদিনে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসকে স্বরণ করে এবং ভবিষ্যতের পথ পরিক্রমা নির্ধারণ করে, যাতে আগামী দিনগুলো নারীর জন্য আরও গৌরবময় হয়ে ওঠে।
""বি:দ্র: এই সাইটের কোন লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডণীয়""
Copyright © 2025 www.digantapratidin.com. All rights reserved.