সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের ভৈরবনগর হতে আখড়াখোলা গামী সড়কের গাবতলা থেকে শীবনগর ব্রিজের আগ পর্যন্ত ১কিলোমিটার রাস্তাটি ২০১৮সাল থেকে নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় পড়েছিল। তবে কেন, কি কারণে সেটা জানা যায়নি। বর্তমানে রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ চলমান রয়েছে। খুলনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম ব্রাদার্স রাস্তাটির টেন্ডার পেলেও কাজ করছেন ধানদিয়া ইউনিয়নের জাহাংগীর নামের এক ব্যবসায়ী।
স্থানীয় শুকুর আলীসহ একাধিক এলাবাসী অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান ঠিকাদার তার ইচ্ছামত রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তাটিতে যে খোয়া দেওয়া হচ্ছে তা কোনভাবেই খোয়া বলা যায় না। হাত দিলে মাটির দলার মত ভেঙে যাচ্ছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে ভাটা থেকে পরিত্যাক্ত পোড়া মাটি এনে কোন রকম দায়সারাভাবে কাজ করা হচ্ছে। যা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। আগামী বর্ষা মৌসুম আসতে না আসতেই আবার রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে। কারন রাস্তার দুই ধারে মৎস্য ঘের। একই সাথে রাস্তার দুই প্রান্তে পানি নিস্কাশনের জন্য দুইটা কালভার্ট করা হয়েছে যার ভিতরের সাইটে করা হয়নি প্লাস্টার।
[caption id="attachment_15997" align="aligncenter" width="300"]
প্লাস্টার ছাড়াই কালভার্ট নির্মান[/caption]
নগরঘাটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল গাজী বলেন, আমি কয়েকবার তাদের মৌখিকভাবে নিম্ন মানের খোয়া দিতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা কেউ আমার কথা না শুনে তাদের ইচ্ছামত কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীর ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে লাইনটি কেটে দেন। পরবর্তিতে আর ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে তালা উপ-সহকারি প্রকৌশলী সজল কুমার শীল বলেন, ১ কিলোমিটার রাস্তাটির নির্মাণ খরচ ৭০ লক্ষ টাকা। নিম্ন মানের খোয়া দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পায়নি। তবে আমরা অতি দ্রুত পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির মাধ্যমে নিম্মমানের খোয়া তুলে নিয়ে ভাল মানের খোয়াসহ অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে দাবি এলাকার সচেতন মহলের।
""বি:দ্র: এই সাইটের কোন লেখা বা ছবি কপি করা আইনত দন্ডণীয়""
Copyright © 2025 www.digantapratidin.com. All rights reserved.