• মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫০
সর্বশেষ :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহে পুষ্পস্তবক অর্পণ গফরগাঁওয়ে নির্বাচনী পোস্টার, পেনা, ফুটপাত মুক্ত করনে মোবাইল কোট পরিচালিত হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। রাণীনগরে বিএনপির নির্বাচনীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন। গফরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিদায় সংবর্ধনা ও নব যোগদানকৃত অফিসারের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে সার্বজনীন মানববন্ধন ময়মনসিংহে হাসপাতাল-ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান , ৫ লাখ টাকা জরিমানা উপকূলীয় শ্যামনগর, আশাশুনি ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধন

আসক্ত হচ্ছে মোবাইলে হারিয়ে যাচ্ছে লেখাপড়া

কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ১০৪০ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫
Oplus_131072

মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে আসক্তি তৈরি হওয়া এবং লেখাপড়ার ওপর এর প্রভাব পড়া একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে, মোবাইল প্রযুক্তি অনেক সুবিধা দেয়, তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার বিশেষ করে অনলাইন গেম, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কারণে অনেকেই এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন, যা তাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ কমিয়ে দেয়।

 

গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে লেখাপড়া। এখন আর সন্ধ্যার পর এক জনের পড়া শুনে আরেকজন পাল্লা দিয়ে বই পড়ে না। কোন মা-বাবা তার সন্তানকেও বলে না যে অমুক পড়তেছে তুই বসে আছিস।

 

অথচ ৫/১০ বছর আগেও সন্ধ্যার পর চারপাশ থেকে বিভিন্ন স্বর ভঙ্গিতে বই পড়ার আওয়াজ শোনা যেত। পরীক্ষা কাছাকাছি থাকলে তো কথাই নেই। কোন সহপাঠী বন্ধু দিনে ও রাতে কতক্ষণ পড়ালেখা করে গোপনে খোঁজ নিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করা হত। সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটিও রাত-দিন পড়তো। যে কোন বোর্ড পরীক্ষার আগে গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ার চর্চাটাও আর নেই। এ চর্চাটার জন্যই অ্যালার্ম ঘড়ির আলাদা একটা কদর ছিল।

 

বোর্ড পরীক্ষার আগে শিওর সাকসেস, টপ ব্রিলিয়ান্ট সাজেশন্সেরও খুব কদর ছিল। আগের বছর পাশ করা ভাই বোনদের কাছে সাজেশনস নিয়ে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ চলতো। মাত্র ৫/১০ বছরের ব্যবধানে সবই প্রায় বিলীন হয়ে গেল। সন্ধ্যার পর এখন দল বেঁধে নামধারী ছাত্ররা মোবাইলে ব্যস্ত থাকে। কোথাও কোন পড়ার শব্দ নেই। গ্রূপ চ্যাটিং, অনলাইন/অফলাইন গেমস,পাব্জি, ফ্রী ফায়ার, টিকটক, চুলের বিভিন্ন স্টাইল কার্টিং করে পাড়া-মহল্লায় ও বাজারে আড্ডাবাজি, গ্রুপিং করা, শিক্ষা গুরুর সাথে বেয়াদবী, শিক্ষকের নামে মিথ্যাচার করা, নিয়ম ভাঙ্গা, বেয়াদবী এগুলোই এখন তাদের পছন্দের তালিকায়।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলামের বলেন, মোবাইল আসক্তির কিছু নেতিবাচক প্রভাব হতে পারে। দৃষ্টি এবং মানসিক শক্তির ক্ষতি।মোবাইলের স্ক্রীনে অতিরিক্ত সময় কাটালে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে, পাশাপাশি মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় অযথা মোবাইলে ব্যস্ত থাকার ফলে পড়াশোনায় সময় কমে যায়, যা শিক্ষার্থীদের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। মোবাইল ব্যবহারের ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না, যার ফলে পড়াশোনা ও একাডেমিক পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে। দীর্ঘসময় মোবাইল ব্যবহারের ফলে শারীরিক সমস্যা যেমন কোমর ও গলা ব্যথা, চোখের সমস্যা, এবং ঘুমের অভাব হতে পারে।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com