• বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১
সর্বশেষ :
খুলনায় যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহে পুষ্পস্তবক অর্পণ গফরগাঁওয়ে নির্বাচনী পোস্টার, পেনা, ফুটপাত মুক্ত করনে মোবাইল কোট পরিচালিত হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। রাণীনগরে বিএনপির নির্বাচনীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন। গফরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিদায় সংবর্ধনা ও নব যোগদানকৃত অফিসারের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে সার্বজনীন মানববন্ধন ময়মনসিংহে হাসপাতাল-ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান , ৫ লাখ টাকা জরিমানা

মণিরামপুর বিএনপির আহবায়ক শহীদ ইকবালের মায়ের ই ন্তে কাল

নুরুল হক, মনিরামপুর প্রতিনিধি / ১৩৬ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫

সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র অ্যাড. শহীদ মুহাম্মদ ইকবালের হোসেন ও সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুকের রতœগর্ভা জয়িতা পুরস্কারপ্রাপ্ত আম্মাজান রাবেয়া বেগম (৯৩) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহী—-রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি ৫ পুত্র ও ৩ কন্যা মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

 

রতœগর্ভা এ মায়ের ইন্তিকালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বামীর প্রতিষ্ঠিত মনিরামপুর সরকারি কলেজ মাঠে প্রায় ১০ হাজার মুসাল্লির অংশগ্রহণে বিকেলে নামাজে জানাজ শেষে সদর ইউনিয়নের ফতেয়াবাদ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে স্বামী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত ডাঃ মহিউদ্দিন সরদারের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

 

পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক সাবেক পৌর মেয়র অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেনের আম্মা রাবেয়া বেগম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভূগছিলেন।

 

গত সপ্তাহে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতে তাকে আইসিইউতে (ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট) নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল আটটায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

 

এ দিকে শহীদ ইকবালের মায়ের ইন্তেকালের খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবার সহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপির আহŸায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগস, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহŸায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, মোহাম্মদ মুছাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ শহীদ ইকবালের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

 

বিকেলে শহীদ ইকবালের পিতা প্রায়ত ডাঃ মহিউদ্দিন সরদারের প্রতিষ্ঠিত মনিরামপুর সরকারি কলেজ মাঠে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লির অংশগ্রহনে ফতেয়াবাদ জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা মোশাররফ হোসেনের পরিচালনায় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে মাহবুব হাসানের ফারুকের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, মোহাম্মদ মুছা, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদ ইকবাল হোসেন, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, উপজেলা শাখার আমির ফজলুল হক, সেলিম জাহাঙ্গীর, পৌর বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আবদুল হাই, অ্যাডভোকেট মকবুল ইসলাম, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য শহীদ ইকবাল হোসেনের পিতা তৎকালিন মণিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মনিরামপুর সরকারি কলেজসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মহিউদ্দিন সরদার ১৯৭৯ সালের ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফতেয়াবাদ গ্রামের নিজ বাড়িতে যাবার সময় কলেজের পশ্চিম পার্শে আততায়ীর হাতে নৃসংশভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হন। এর পর থেকে ৬ পুত্র এবং ৩ মেয়েকে অতিকষ্টে লালন পালন করেন রাবেয়া বেগম। তার বড় ছেলে শহীদ ইকবাল হোসেন পিতার অবর্তমানে কয়েকবার ইউপি চেয়ারম্যান এবং পরবির্ততে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং বার বার পৌর মেয়র নির্বাচিত হন।

 

এ ছাড়া শহীদ ইকবাল হোসেন ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে মনিরামপুর থেকে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হন। অন্যদিকে পিতার ইউনিয়নে ছোট ছেলে নিস্তার ফারুকও কয়েবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রাজনীতিতে রয়েছে এ পরিবারের অনবদ্য ভূমিকা। সব মিলিয়ে ইতিপূর্বে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রতœগর্ভা মা হিসেবে শহীদ ইকবালের মা রাবেয়া বেগম জয়িতা পুরুষ্কারে ভূষিত হন।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com