• মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৮
সর্বশেষ :
খুলনায় যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহে পুষ্পস্তবক অর্পণ গফরগাঁওয়ে নির্বাচনী পোস্টার, পেনা, ফুটপাত মুক্ত করনে মোবাইল কোট পরিচালিত হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। রাণীনগরে বিএনপির নির্বাচনীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন। গফরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিদায় সংবর্ধনা ও নব যোগদানকৃত অফিসারের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে কিশোরগঞ্জে সার্বজনীন মানববন্ধন ময়মনসিংহে হাসপাতাল-ক্লিনিকে র‌্যাবের অভিযান , ৫ লাখ টাকা জরিমানা

পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে আইনের দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছে অসহায় নারী

দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি / ১০৩৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪
পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে আইনের দরজায়

অসহায় এক নারীর পৈত্রিক সম্পত্তি খুঁটির জোরে জোরপূর্বক জবর দখল করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রেনুয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে, উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন একই গ্রামের মৃত সৈয়দ রমিজ উদ্দিনের মেয়ে ঝর্ণা বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর পিতার মৃত্যুর পর বাঁশতলা মৌজার ১২ নং খতিয়ানের ১১নং দাগে পিতার রেখে যাওয়া
নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমিতে  ত্যাজ্য বিত্তে মালিক ও দখলকার থাকিয়া উহাতে ফসলাদি ফলাইয়া আসিতে থাকাবস্থায় “আমাদের ভ্রাতা সিরাজুল ইসলাম মৃত্যু বরন করেন। ভাই মৃত্যু কারণে তারই স্ত্রী রেনুয়ারা বেগম তাহার স্বামীর অংশে প্রাপ্ত ভূমির মালিক ও দখলকার হন। যদিও নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি ভিপি খতিয়ানের আওতাভুক্ত। পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে ভাই বোন সবাই মালিক। সেই সুবাদে প্রত্যেক ওয়ারিশ তার পাপ্য সমান অংশে মালিক ও দখলকার থাকিয়া ফসলা ফলাইয়া আসিতেছি। ফসল ফলাইবার পূর্বে বিবাদীনি বর্ণিত ভূমিতে তাহার একক মালিকানা দাবী করিলে বিবাদীনি ও আমাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়। সেইজন্য গতবছর উক্ত বিষয়টি স্থানীয়-চেয়ারম্যানকে অবগত করিলে চেয়ারম্যানের ডাকে না আসায় চেয়ারম্যান আমাকে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিতে বলেন। নিরুপায় হয়ে আমি গত দুই বছর যাবত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ভূমি অফিসে সহকারী কমিশনার ভূমির কার্যালয়ে ঘোরে বেড়াচ্ছি।
ভুক্তভোগী ঝর্ণা বেগম  বলেন, আমি একজন অসহায় নারী আমার পিতার মৃত্যুর পর কিছু দিন জমি ভোগদখল করে ফসল উৎপাদন করে খেয়েছি।
আমার আপন ভাই সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর পর সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রেনুয়ারা বেগম স্থানীয় সমাজপতি ও সালিশ ব্যাক্তিদের কুমন্ত্রণায় সুকৌশলে জমি দখল করে নেয়। যেহেতু জমি ভিপি খতিয়ান ভুক্ত, রেকর্ডিয় নয়, এছাড়া জমি রেজিস্ট্রার ও হয় না, সেই সুবাদে রেনুয়ারা বেগম স্টাম্পের মাধ্যমে চড়া দামে শক্তিশালী পক্ষের নিকট জমি বিক্রি করে ফেলছে। আমি এখন এসব শক্তিশালী সালিশ ব্যাক্তিদের বয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
“বিবাদী-রেনুয়ারা বেগমকে না পেয়ে বক্তব্য নিতে পারিনি।
স্থানীয় পেকপাড়া গ্রামের আব্দুল মন্নান বলেন, ঝর্ণা বেগম একজন অসহায় মহিলা তার বাবার সম্পত্তি তার সব ভাইয়েরা সহ আরেক বোন ও পেয়েছে, তাহলে ঝর্ণা সম্পত্তি পাবে না কেন! ঝর্ণার অংশ ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী এলাকার কিছু ঘুষখোর সালিশ ব্যাক্তিদের নিয়ে বিক্রি করে ফেলছে।
স্থানীয় পেকপাড়া গ্রামের সালিশ ব্যাক্তিত্ব  আব্দুল কাদির বলেন, ঝর্ণা বেগমের বাবার সম্পত্তি আছে বলে আমার জানা নেই। ঝর্ণা বেগমের পৈত্রিক বা বাবার সম্পত্তি থাকলে কি উনি জায়গা পাবে বলে আপনি মনে করেন। এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে আব্দুল কাদির বলেন ঝর্ণার বাবার কোন জায়গাই ছিলো না পাবে কি ভাবে।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নেহেরু নিগার তনু বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমি জানি না এখন শুনলাম। নতুন করে অভিযোগ পেলে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com