• রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩
সর্বশেষ :
হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাণীনগরে বিক্ষোভ মিছিল তালায় আম বাগান থেকে আলাউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার রামপালে প্রতিবন্দিকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলার অভিযোগ রূপসা উত্তর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার। ময়মনসিংহে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দের সংবর্ধনা অনুষ্টান অনুষ্ঠিত। খুলনায় যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। রামপালে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহে পুষ্পস্তবক অর্পণ গফরগাঁওয়ে নির্বাচনী পোস্টার, পেনা, ফুটপাত মুক্ত করনে মোবাইল কোট পরিচালিত হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য চাল কুমড়ার বড়ি তৈরীতে ব্যস্ত গ্রামের বধুরা

মোঃ তাজমুল ইসলাম, তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি / ১২০ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
কুমড়ার বড়ি তৈরীতে ব্যস্ত গ্রামের বধুরা

তালার গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য চাল কুমড়ার বড়ি তৈরীতে গ্রামীণ বধুরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বলা যায়, হাড় কাপানো শীতকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে যায় চাল কুমড়া দিয়ে বড়ি বানানোর তোড়জোড়। শীত আসলেই, বিশেষ করে পৌষে শুরু হলেই বড়ি তৈরির ধুম পড়ে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতে। বাজার থেকে কিনে আনার চেয়ে তারা বাড়িতেই বানাতে পছন্দ করেন এই বড়ি। বাড়িতে বনানো বড়ির স্বাদ বেশী ভালো হয় বলে তারা মনে করেন গ্রামের বধুরা।

অতিথি আপ্যায়ন, আতœীয় স্বজনের বাড়িতে সরবরাহসহ অনেকে পেশা হিসেবে বড়ি তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। শীতের সবজিতে চাল কুমড়ার বড়ির ব্যবহার আজও গ্রাম বাংলার সেই পুরনো চিত্র ফুটে ওঠে। উপজেলার অধিকাংশ বাড়িতে শীতের এ সবজি তৈরীতে চলছে উৎসব।

জানা গেছে, শীতের শুরুতে আবহমান কাল থেকে গ্রাম বাংলায় চাল কুমড়ার বড়ির ব্যবহার হয়ে আসছে। এজন্য উপজেলার অধিকাংশ এলাকার কৃষকরা শ্রাবণ ভাদ্র মাসে মাসকলাইয়ের আবাদ করে থাকে।

শীতের শুরুতেই এ কলাই কৃষকের ঘরে ওঠে। তখন চাল কুমড়ার সাথে এ কলাই মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে বড়ি তৈরী করা হয়ে থাকে। শীতের সবজির সাথে এ বড়ি দিয়ে রান্না করলে তরকারি খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে। এ কথা বিবেচনা করে গ্রামীণ জনপদে আবহমান কাল থেকে বড়ির প্রচলন রয়েছে।

তেঁঁতুলিয়া ইউনিয়নের লাউতাড়া গ্রামের গৃহবধু আমেনা খাতুন ও লিমা খাতুন জানান, এবছর ১০ কেজি চালকুমড়ার বড়ি দিয়েছেন। মাসকলাইয়ের সাথে চালকুমড়া মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে বড়ি তৈরী করা হয়ে থাকে। এরপর পরিষ্কার কাপড়ের ওপর ইচ্ছে মতো সাজিয়ে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে বড়ি সংরক্ষণ করা হয়। শহরের আত্মীয় স্বজনদের কাছে এর কদর সবচেয়ে বেশী। শীতের শুরুতেই এর চাহিদা মেটাতে তাই তারা গ্রামের আত্মীয় স্বজনদের অপেক্ষায় থাকেন। যার কারণে গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে চলে চালকুমড়ার বড়ি তৈরীর উৎসব।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com